পটুয়াখালীর গলাচিপায় রোপা আমন (ব্রি ধান-৭৬) উফশী ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠান করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্বাবধানে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের কৃষক উত্তম কুমারের ফসলের মাঠে এ নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। উত্তম কুমার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসানের তত্ত্বাবধানে এ জাত টি প্রথমবার চাষ করেছেন। এসময় নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষিবিদ জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী।
এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আরজু আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আকরামুজ্জামান, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান ও মোঃ জাকির খান সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এলাকার কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, গলাচিপা উপজেলায় অধিক পরিমাণে আমনে উফশী ধানের চাষ হয়। এই ধানের ফলন নির্ধারণের জন্য নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে।
২০ বর্গমিটার জমতি গোলাকার আকৃতিতে আমরা নিজেরা ধান কেটেছি। আধুনিক উফশী হিসেবে খ্যাত ব্রি-ধান ৭৬ এ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। হেক্টর প্রতি এ ধানের উৎপাদন সাড়ে ৫ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।
তাই কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধান কৃষকদের জমিতে লাগানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তিনি বলেন, এ জাতের ধান আগাম পাঁকে ফলে কৃষক অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না সেই লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আমন ধান কাটার পরপরই এই এলাকায় রবি ফসলের মধ্যে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কৃষি বিভাগ কাজ করছে।